পিতার শতবর্ষ উদযাপন শুরু হল-
ধর্ষিত কন্যার আকাশছোঁয়া চিৎকার দিয়ে।
এখনো বহু মেয়ে কান্নার অপেক্ষায়…

“এটা বিরোধী দলের চক্রান্ত,
কিংবা ধর্ষক স্বাধীনতা বিরোধী চক্র,
অথবা এটা ভাল্লুকের কাজ।”
এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ হবে হয়ত।
আমি টিভির সামনে বসে-
কম্বলে পা ঢুকিয়ে এমন সংবাদ দেখার অপেক্ষায়।

এই শীতে রাস্তায় নামবো? ধুরো,
ফেসবুকে তো প্রতিবাদ জানিয়েছিই।
সে আমার আপন কেউ না তো,
তারপরও বোন বলে সম্মোধন করেছি,
হ্যাশট্যাগে জাস্টিস ফর তার নাম লিখেছি।
এটাও বা কম কিসে?

হাসপাতালের বিছানা থেকে বদ্ধ ঘরের কোণে-
জাতির পিতার ধর্ষিত মেয়েটা কাঁদবে।
আমি টিভির সামনে বসে, কফির মগে চুমুক দিয়ে,
আরেক মেয়ের ধর্ষনের সংবাদ দেখবো।
আমার বোনটাও বড় হচ্ছে আস্তে আস্তে।
মাধ্যমিকের পর কলেজ শেষ করে,
বোন আমার যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে,
ক্লাস শেষে তারও যেদিন বাসায় ফিরতে দেরি হবে,
আমি তখনো টিভির সামনে বসে –
আমার আদরের বোনের বাসায় ফেরার অপেক্ষা করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে