অবশেষে তোমাকে ক্লান্ত করলো বিভ্রান্ত সময়
আদি মানব আদমের করোটি ধরে তুমি শুয়ে পড়লে সিঁড়ির চাতালে
তীব্র আর্তনাদে দিগন্ত ছিঁড়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো ক্ষুদে আবাবিলের পালকগুচ্ছ
যেন এক তূর্য সূর্যের সহমরণ চিতায় লুটিয়ে পড়লো ওরা।
সেদিন সূর্য ওঠেনি এ বাংলায়
বনসাই মেকি-ভোর ছিল বীভৎস অমাবস্যাগ্রস্ত
অন্ধকারের রাহু খান খান গিলেছিল সাতচল্লিশ বায়ান্ন ঊনসত্তর একাত্তর
বিকৃতির পাড়া দিয়ে হেঁটে এসেছিল মৃত্যুবহ শকুনের চোখ।
তোমার চলে যাবার সময় থমথমে পাপের আঁচে সেদ্ধ হয়েছিল সাড়ে সাত কোটি বিবেক, কৃতঘ্ন হাওয়ায় লেগেছিল হাবিয়ার জাকাম,
সেদিন যতবার ছোঁবে বলে বাড়িয়েছিলে হাত, ততবার হিংস্র দাঁতেরা এগিয়ে এসেছিল বিকৃত সুখে।
সিঁড়িতে পড়ে থাকলো এ জাতির সমস্ত বিবেক
রমনা,রেসকোর্স,সাতই মার্চ,বিপ্লবী ননীবালা, প্রীতিলতা সব,
পড়ে থাকলো পথে পথে জড়ো হওয়া চে মাও লেনিন ক্যাস্ট্রো ম্যান্ডেলা , তিরিশ লক্ষ শহীদের দামে কেনা বঙ্গীয় ব-দ্বীপ,লাল সবুজের অনিন্দ্য অহংকার।
আত্মঘাতি হলো আজন্ম রক্তের ঋণ, ভাটিয়ালি জারি সারি লালন হাছন
কিষাণের পেশি, আলপথ ধানী ভোর
মানবিক রীতিনীতি সাদাসিধা বিশ্বাসের অধর।
তোমার বুকের রক্তে ভেসে গেলো এ বাংলার সমস্ত ঐশ্বর্য,অহংকার
ভিখারী জাতির বুকে দাউদাউ আগুন এখন গনগনে হাবিয়ার
মগজের কোষে কোষে শ্বাপদ-সাজিয়ে রাখা আগাছার ঘর
আরেকটিবার উদ্ধত আঙুলে কাটো অভিশপ্ত লুটেরার ঘৃণ্য দগ্ধ কর।