সন্তাপের আগুন পুড়িয়ে দিলে আমাকে দেখো না তুমি আর একটি বার,
একটিবারও আর নিজেকে অবরুদ্ধ রেখে মুক্তির চেতনায় বিহঙ্গ হতে দিওনা ও মন।
যদি রাশি রাশি স্বপ্নের সমাহারে জীবনকে বঞ্চিত করে রাখে অমোঘ প্রাপ্তি থেকে
তবু আর ভুল নামে ডেকো না আমায় একটিবার,
জীবনের সঞ্চিত সঞ্চয় ভিনদেশী করে রাখে আমাদের ভাবনার গ-ীকে-
পরাজিত পারিজাত হয়ে ফুটে থাকি হৃদসরোবরে তোমার;
অথচ সন্তরণ অজানা সম্পূর্ণ,
জানা নেই কি করে ভাবনার শতদলে ছল করে লিখে যেতে হয় প্রিয় নাম!
আমি অবোধ অবাধ হয়েই তবু জীবন কুঁড়ালাম কষ্টের ফসলি মাঠ থেকে।
একদিন আমিও নীল হতে হতে দূরে চলে যাবো জেনো আবিষ্ট বোধ থেকে
একদিন আমাদের স্মৃতিরাও কেঁদে উঠবে হাহাকারে,
সেই দিন সেই সমূহ প্রতিশ্রুতির অবকাঠামোকে ঘিরে ‘অনন্ত শুন্যতা’
ফেরাতে পারবে না আর একটিবারও জানি জীবনের পরিগ্রহে তৃষ্ণার চিরকাক্সিক্ষত সেই জল!
গাংচিল, মেঘরাশি, সমুদ্রের বাষ্পায়িত ধোঁয়া উড়ে চলে যায়;
মুছে যায় অমোঘ নিয়তি!
যা কিছু নিজের বলে মনে হতো এককালে-অথচ পায়ে পায়ে পায়ের দূরত্ব কতোখানি,
তার পরিমাপ জেনে নিয়ে আমিও কালের গর্ভে দেবো ডুব অন্তলীন।
ফিরে আর আসবে না কেউ; ফিরে আর ডাকবে না কেউ জানি।