ওমন প্রেম তো আর হয় না,
হয়ও নি।
কতই তো প্রেম হলো,
ভালবাসাবাসি হলো,
স্বপন আসে, সুখ আসে,
সাথে আসে প্রেম ও প্রেয়সী বন্দনা-
কবিতা।
কিন্তু বসন্ত বাদে বৈশাখ,
প্রেমবাহারে বৈশাখী তান্ডব,
অতঃপর চৈত্রের চৌচির খরা, একঘেয়েমি –
প্রকৃতির বিধান,
নিঠুর বাস্তব!
দুঃখ অবধারিত,
বেদনার দাহে প্রণয়ের চিতা জ্বলে দাউদাউ,
আর মরার ছাই দিয়ে লিখি দিস্তা দিস্তা কবিতা।

সব হয়, যা হতে হয় –
বায়ান্ন হয়, ঊনষাট হয়, একাত্তর তো হতেই হয়।
দখলদার মুক্ত হয় মন,
হতেই হয় –
পুনরায় অন্য এক প্রেমিকার হাতে তুলে দেয়া,
নিঃশর্ত সমর্পণ।
মুঠোবন্দি পরোক্ষণেই।
মনের আত্মগাহন।
অথচ এই মনই তো এক প্রেমে বিহঙ্গ ছিল নীল গগনের।
অতঃপর আবার ভালবাসাবাসি,
প্রেম –
মানুষ তো, তা-ও আবার পুরুষ-
পুরুষের বুবুক্ষু হৃদয়,
ভালবাসা চাই, সাথে প্রেমিকার নারী শরীর,
আরো নারীর সতীত্ব সততা আরো অনেক দলিল –
সংবিধান শপথ।

এই তো প্রেম,
বস্তুবাদী মন বড়ই হিসেবি,
সতর্ক আজ ভালবাসাবাসি!

কিন্তু ওমন প্রেম তো আর হয় না!
ওমন প্রেম তো আর হয়ই নি।
কতই তো প্রেম হলো,
ভালবাসাবাসি হলো!
বাহারি প্রেমিকা –
অপরূপা অনন্যা,
রম্ভা মেনকা –
কারো আবার দিঘল আঁখি,
কেউবা সুস্মিতা প্রিয়ভাষিণী;
কত গুণ বিশেষণ,
লাভ ক্ষতির খতিয়ান!
তাড়না কামনার, স্বপ্ন বাসনার –
লকলকে জিভ ঝুলে থাকে হৃদয়ে,
লালা ওথেকে যা ঝরে ওরেই তো আজ প্রেম বলে।

কতই তো প্রেম হলো,
অথচ ওই প্রেম তো আর হলো না –
ওই ভাল বেসেছিলেম কেন তা তো আজও জানা হয়নি;
কে হারালো, কে হারল তা তো আজও বোঝা যায়নি;
কামনা ছিল ভালবাসবার, বাসনা ছিল সুখ দেবার,
কে কাকে কি দিয়েছি তার হিসেব আজো কষা হয়নি।
‘আপনি’ কয়েই বছর কেটেছে,
কবিতা সব অব্যক্তই রয়েছে,
নয়নে নয়ন কি বলেছে তা তো আজো ভোলা যায়নি।

কবি বলে সে কভু ডাকেনি মোরে;
এখনো সে আসে,
স্বপনো দুয়ারে,
জানে ঠিকই, কবিতা এ সবই তাঁর কথাই যে কহে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে